মুস্তাকিম নিবিড়ঃ
বিগত দেড় যুগের অপশাসনে ব্যাংক লুট, কর ফাঁকি, ঘুষ-কমিশন-চাঁদার মাধ্যমে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তালিকায় আছেন রাজনীতিবিদ সহ ব্যবসায়ী, আমলা, পুলিশ, বিচারক, প্রকৌশলীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। বিদেশে পাচারের পাশাপাশি কালো টাকার বড় একটি অংশ দেশে রেখেছেন অনেকে। কেউ কেউ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে রেখেছেন কালো টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত জুন পর্যন্ত মানুষের হাতে ছিল রেকর্ড পরিমাণ নগদ টাকা, তিন লাখ কোটির বেশি। মে মাসে যার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দুর্নীতিবাজদের একটি অংশ আতঙ্কে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনৈতিক উপায়ে যারা অর্থ উপার্জন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অন্যায়কে অন্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যায়কারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এরই মধ্যে শীর্ষ কিছু দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আরও বড় পরিসরে অভিযান চালানোর ঘোষণা আসতে পারে হলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। তারা আরও জানায় সেনাবাহিনী ছাড়াও আরও চার সংস্থার সমন্বয়ে হবে বেশকিছু টিম। সারা দেশে চলবে অভিযান।