ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বিনিময় চুক্তিঞ মূলত দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে গঠিত। এই চুক্তিগুলি সাধারণত আন্তর্জাতিক নদীগুলির জল বণ্টন, নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, এবং পানি ব্যবহারের নীতিমালা নির্ধারণ করে।
**গঙ্গা পানি চুক্তি:**
১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে গঙ্গার পানি ফারাক্কা বাঁধ থেকে কীভাবে দুই দেশে ভাগ করা হবে, তার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়। এই চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, যা ২০২৬ সালে শেষ হবে।
**তিস্তা পানি বণ্টন:**
তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি, তবে এটি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই নদীর পানি কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
**অভিন্ন নদী কমিশন (জেআরসি):**
ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে ১৯৭২ সালে “জয়েন্ট রিভার কমিশন” (জেআরসি) গঠন করে, যা দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। এই কমিশনের মাধ্যমে দুই দেশ নদীর পানি ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা এবং মতবিনিময় করে থাকে।
এই চুক্তিগুলি দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে, কিছু নদীর পানি বণ্টন নিয়ে এখনও মতবিরোধ এবং আলোচনা চলছে, যা দুই দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।