চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি নদীর ৯টি স্টেশনের পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সাতটি নদীর ১৪টি স্টেশনে পানির স্তর বিপদসীমার ওপরে ছিল।
শনিবার (২৪ আগস্ট) এই তথ্য প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
তথ্য অনুযায়ী, ভারী বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসায় কিছু নদীর পানির স্তর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, গোমতি এবং ফেনী নদীর কিছু স্টেশনে পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে, মুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় ফেনী অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টি না হলে এই নদীগুলোর পানির স্তর বিপদসীমার নিচে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। এছাড়া, উজানের নদ-নদীগুলোর পানির স্তর হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এই সময়ে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই এবং ধলাই নদীর পানির স্তর কমতে পারে এবং নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি স্তর কমছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্তর স্থিতিশীল রয়েছে, এবং উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, ও দুধকুমার নদীর পানির স্তর সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা এবং কুশিয়ারা নদীর পানির স্তর কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।