Dhaka 10:25 am, Saturday, 2 November 2024

শেয়ার লুটেরাদের সনাক্ত করেছে সরকার, ধরা পড়বে চুনোপুঁটিরাও

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:48:05 pm, Wednesday, 30 October 2024
  • 86 Time View

★ কেলেঙ্কারিতে জড়িত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের শতাধিক কর্মকর্তা

★ অস্তিত্বহীন কোম্পানিতে বিনিয়োগে নিঃস্ব হয়েছে শতশত পরিবার

মুস্তাকিম নিবিড়ঃ
শেয়ার বাজার দরপতনের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার নেপথ্যে নায়করা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। তাদের স্পর্শ করার ক্ষমতা কারো নেই। নির্মম, নির্দয়ভাবে প্রায় ৪০ লাখ বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তারা। ৪০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও তার পরিবারসহ প্রায় ২ কোটি মানুষ নিদারুণ আর্থিক কষ্টের শিকার। এই নির্দয় লুণ্ঠনকারীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর । গেলো সপ্তাহে শেয়ার বাজারে দরপতনে নিঃস্ব হওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বেশ কয়েকজন কান্নাজড়িত কণ্ঠে গণমাধ্যমের কাছে তাদের অসহায়ত্বের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা শেয়ার বাজারে দরপতনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীদের সনাক্ত এবং কিভাবে আত্মসাৎ করেছে তার বিস্তারিত তথ্য উলেস্নখ করে ইতিমধ্যে সরকারের শীর্ষ প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

ক্যাসিনোর চেয়েও বড় আতঙ্কের নাম শেয়ারবাজার। নিঃস্ব লাখ লাখ পরিবার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতিদিনই হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার বাজারমূলধন। শুধু গত ৭ মাসেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন কমে গেছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে।

শুধু বিনিয়োগকারী নয়, শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে সর্বস্তরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার নারীও তার সঞ্চয়ের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেলেছে। ব্রোকারেজ হাউসের কয়েক হাজার চাকরিজীবীও দিশেহারা। চাকরি নেই, তাই চলছে না সংসারের চাকাও। মিশন থেকে ফিরে আসা বহু কর্মকর্তার বিপুল অংকের টাকাও খোয়া গেছে এই রাক্ষুসী শেয়ারবাজারে। বিপরীতে বহাল তবিয়তে আছে ডাকসাইটে ডাকাতরা। যারা বারবার শেয়ারবাজারে ইচ্ছেমতো লুটপাট চালিয়েছে। এছাড়া শুধু দেশের মানুষের নয়, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে এসে চীনা কোম্পানিরও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।

চক্রটির লুটপাট এমন স্তরে গিয়ে ঠেকেছে যে, তারা ৫০ টাকার শেয়ার ২ টাকায় নিয়ে এসেছে। এর কারণটাও হতবাক করার মতো। সর্বস্ব খুইয়ে তারা জানতে পেরেছে ৫০ টাকা দিয়ে যে শেয়ার কেনা হয়েছে সেই কোম্পনির কোনো অস্তিত্বই নেই। এর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তার দায় কোনোভাবে এড়াতে পারে না। কেননা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করতে তাদেরকে বসানো হয়েছে।

প্রথম লুটপাট হয়েছে দুর্বল কোম্পানির অনুমোদন ও বেপরোয়া প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের মাধ্যমে। বাজারে এমন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ যারা লুট করেছেন, তাদের অনেকেই সভা, সমাবেশ ও সেমিনারে বক্তব্য দিয়ে মানুষকে জ্ঞান দিচ্ছেন। ব্যবসা বাণিজ্যসহ সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির উন্নয়নেও তারা উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। এমন দৃশ্য দেখে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভুক্তভোগীদের ক্ষোভের ঝাঁজ আরও বাড়ছে।

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই ছিল সূচকের সবচেয়ে বড় পতন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৯৭ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। এর আগে ডিএসইতে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছিল ৪ আগস্ট, ওই দিন ডিএসইএক্স সূচকটি ১০৫ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমেছিল।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টানা দরপতনে প্রতিদিনই শেয়ারবাজার ছাড়ছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এই দরপতনের ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের অনেকের শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের আওতায় পড়ছে। শেয়ারের দাম কমে যখন একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে যায়, তখন ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগের তাগাদা দেওয়া হয়। যদি কোনো বিনিয়োগকারী নতুন বিনিয়োগ না করেন, তখন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাঁর শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করে নেয়। শেয়ারবাজারে এটি ফোর্সড সেল হিসেবে পরিচিত। বাজারে যত বেশি দরপতন হতে থাকে, ফোর্সড সেলের চাপও তত বাড়তে থাকে। লাগামহীন কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল মৌলভিত্তি ও জাঙ্ক কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোরপ্রাইস আরোপ, সার্কিট ব্রেকারের সীমা পরিবর্তনসহ নানা ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাজারের প্রকৃত অবস্থা ঢেকে রাখা হয়েছিল। এখন কৃত্রিম চেষ্টা না থাকায় অনিয়ম, কারসাজির অনিবার্য পরিণতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির সাথে মার্চেন্ট ব্যাংক, সিকিউরিটি /ব্রোকারেজ হাউজ গুলোর বিজনেস অপারেশনস এর প্রায় ১৫০ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চলচ্ছে দৈনিক নওরোজ। তথ্য রয়েছে ভুয়া কোম্পানিকে বাজারে এনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে এরা হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। লুটপাট এর অর্থ বিদেশে পাচার সহ দেশে রয়েছে তাদের সম্পদের পাহাড়। চুনোঁপুটি থেকে রাঘব বোয়ালে পরিণত হওয়া এই লুটেরা সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচনে দ্যা টাইমস অব ঢাকার ধারাবাহিক প্রতিবেদন চলমান থাকবে।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শেয়ার লুটেরাদের সনাক্ত করেছে সরকার, ধরা পড়বে চুনোপুঁটিরাও

Update Time : 04:48:05 pm, Wednesday, 30 October 2024

★ কেলেঙ্কারিতে জড়িত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের শতাধিক কর্মকর্তা

★ অস্তিত্বহীন কোম্পানিতে বিনিয়োগে নিঃস্ব হয়েছে শতশত পরিবার

মুস্তাকিম নিবিড়ঃ
শেয়ার বাজার দরপতনের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার নেপথ্যে নায়করা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। তাদের স্পর্শ করার ক্ষমতা কারো নেই। নির্মম, নির্দয়ভাবে প্রায় ৪০ লাখ বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তারা। ৪০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও তার পরিবারসহ প্রায় ২ কোটি মানুষ নিদারুণ আর্থিক কষ্টের শিকার। এই নির্দয় লুণ্ঠনকারীদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর । গেলো সপ্তাহে শেয়ার বাজারে দরপতনে নিঃস্ব হওয়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বেশ কয়েকজন কান্নাজড়িত কণ্ঠে গণমাধ্যমের কাছে তাদের অসহায়ত্বের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা শেয়ার বাজারে দরপতনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীদের সনাক্ত এবং কিভাবে আত্মসাৎ করেছে তার বিস্তারিত তথ্য উলেস্নখ করে ইতিমধ্যে সরকারের শীর্ষ প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

ক্যাসিনোর চেয়েও বড় আতঙ্কের নাম শেয়ারবাজার। নিঃস্ব লাখ লাখ পরিবার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতিদিনই হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার বাজারমূলধন। শুধু গত ৭ মাসেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজারমূলধন কমে গেছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে।

শুধু বিনিয়োগকারী নয়, শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে সর্বস্তরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার নারীও তার সঞ্চয়ের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেলেছে। ব্রোকারেজ হাউসের কয়েক হাজার চাকরিজীবীও দিশেহারা। চাকরি নেই, তাই চলছে না সংসারের চাকাও। মিশন থেকে ফিরে আসা বহু কর্মকর্তার বিপুল অংকের টাকাও খোয়া গেছে এই রাক্ষুসী শেয়ারবাজারে। বিপরীতে বহাল তবিয়তে আছে ডাকসাইটে ডাকাতরা। যারা বারবার শেয়ারবাজারে ইচ্ছেমতো লুটপাট চালিয়েছে। এছাড়া শুধু দেশের মানুষের নয়, শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে এসে চীনা কোম্পানিরও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।

চক্রটির লুটপাট এমন স্তরে গিয়ে ঠেকেছে যে, তারা ৫০ টাকার শেয়ার ২ টাকায় নিয়ে এসেছে। এর কারণটাও হতবাক করার মতো। সর্বস্ব খুইয়ে তারা জানতে পেরেছে ৫০ টাকা দিয়ে যে শেয়ার কেনা হয়েছে সেই কোম্পনির কোনো অস্তিত্বই নেই। এর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তার দায় কোনোভাবে এড়াতে পারে না। কেননা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা করতে তাদেরকে বসানো হয়েছে।

প্রথম লুটপাট হয়েছে দুর্বল কোম্পানির অনুমোদন ও বেপরোয়া প্লেসমেন্ট বাণিজ্যের মাধ্যমে। বাজারে এমন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ যারা লুট করেছেন, তাদের অনেকেই সভা, সমাবেশ ও সেমিনারে বক্তব্য দিয়ে মানুষকে জ্ঞান দিচ্ছেন। ব্যবসা বাণিজ্যসহ সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির উন্নয়নেও তারা উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন। এমন দৃশ্য দেখে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভুক্তভোগীদের ক্ষোভের ঝাঁজ আরও বাড়ছে।

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই ছিল সূচকের সবচেয়ে বড় পতন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৯৭ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। এর আগে ডিএসইতে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছিল ৪ আগস্ট, ওই দিন ডিএসইএক্স সূচকটি ১০৫ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমেছিল।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টানা দরপতনে প্রতিদিনই শেয়ারবাজার ছাড়ছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এই দরপতনের ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের অনেকের শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের আওতায় পড়ছে। শেয়ারের দাম কমে যখন একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে যায়, তখন ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগের তাগাদা দেওয়া হয়। যদি কোনো বিনিয়োগকারী নতুন বিনিয়োগ না করেন, তখন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাঁর শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করে নেয়। শেয়ারবাজারে এটি ফোর্সড সেল হিসেবে পরিচিত। বাজারে যত বেশি দরপতন হতে থাকে, ফোর্সড সেলের চাপও তত বাড়তে থাকে। লাগামহীন কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল মৌলভিত্তি ও জাঙ্ক কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোরপ্রাইস আরোপ, সার্কিট ব্রেকারের সীমা পরিবর্তনসহ নানা ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাজারের প্রকৃত অবস্থা ঢেকে রাখা হয়েছিল। এখন কৃত্রিম চেষ্টা না থাকায় অনিয়ম, কারসাজির অনিবার্য পরিণতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির সাথে মার্চেন্ট ব্যাংক, সিকিউরিটি /ব্রোকারেজ হাউজ গুলোর বিজনেস অপারেশনস এর প্রায় ১৫০ কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চলচ্ছে দৈনিক নওরোজ। তথ্য রয়েছে ভুয়া কোম্পানিকে বাজারে এনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে এরা হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। লুটপাট এর অর্থ বিদেশে পাচার সহ দেশে রয়েছে তাদের সম্পদের পাহাড়। চুনোঁপুটি থেকে রাঘব বোয়ালে পরিণত হওয়া এই লুটেরা সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচনে দ্যা টাইমস অব ঢাকার ধারাবাহিক প্রতিবেদন চলমান থাকবে।