Monkey ভাইরাস, যা Monkeypox নামেও পরিচিত, একটি বিরল কিন্তু সম্ভাব্য গুরুতর ভাইরাস সংক্রমণ যা Monkeypox ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। এটি সাধারণত পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, বিশেষ করে বানর বা অন্যান্য বন্য প্রাণী থেকে, তবে মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে।
সংক্রমণ ও লক্ষণ:
Monkeypox সাধারণত ফ্লু-সদৃশ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়, যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা এবং ক্লান্তি। কিছু দিন পর ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়, যা দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ফুসকুড়ি ফোস্কা এবং ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
প্রতিরোধ ও সুরক্ষা:
1. ব্যক্তিগত সুরক্ষা:
- **পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:** নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
- **মুখোশ ও গ্লাভস:** যদি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে মুখোশ এবং গ্লাভস পরা অত্যন্ত জরুরি।
- **সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানো:** Monkeypox আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ বা তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে দূরে থাকা।
2. ভ্রমণ সতর্কতা:
- **উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিহার:** যেখানে Monkeypox এর প্রাদুর্ভাব রয়েছে, সেই এলাকায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা।
- **স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নির্দেশনা অনুসরণ:** ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ এবং সতর্কতাগুলি মেনে চলা।
3. **প্রতিরোধমূলক টিকা:**
- **ভ্যাকসিন গ্রহণ:** Monkeypox প্রতিরোধে বর্তমানে ব্যবহৃত ভ্যাকসিন রয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এটি গ্রহণ করা উপকারী হতে পারে।
4.সচেতনতা বৃদ্ধি:
- **শিক্ষা ও প্রচারণা:** Monkeypox সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা সংক্রমণের লক্ষণগুলো চিনতে পারে এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
চিকিৎসা:
Monkeypox-এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই, তবে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
Monkeypox একটি গুরুতর সংক্রমণ যা সঠিক সুরক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, সঠিকভাবে মাস্ক এবং গ্লাভস ব্যবহার, এবং সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Publisher : Mustakim Nibir
© All rights reserved © The Times Of Dhaka